বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

রংপুর সদরে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে

খন্দকার মিলন আল মামুন / ৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
সম্প্রতি এ উন্নয়ন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে হরিদেবপুর ও খলেয়া ইউনিয়নের একাধিক প্রকল্প ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের(অতিরিক্ত সচিব) মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান

রংপুর সদর উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প টিআর,কাবিখা ও কাবিটার মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জে কাচা ও পাকা রাস্তার কাজ এখন দৃশ্যমান হয়েছে। সম্প্রতি এ উন্নয়ন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে হরিদেবপুর ও খলেয়া ইউনিয়নের একাধিক প্রকল্প ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের(অতিরিক্ত সচিব) মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান।
জানাযায়, রংপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প টি.আর,কাবিখা ও কাবিটার মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জে কাচা রাস্তার মাটির কাজ কমিয়ে পাকা রাস্তার কাজ এইচবিবিকরণ, আরসিসিকরণ, বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান, ইউড্রেনের কাজ এখন দৃশ্যমান । ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়ন, হরিদেবপুর, চন্দনপাট, সদ্যপুস্করিনী ও খলেয়া ইউনিয়নের জনসাধারনের জনদুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা করছেন সাধারন মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , ৪নং সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব কেশবপুরে কবরস্তানের সীমানা প্রচীর ও মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষের দিকে । স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে কবরস্তানের সীমানা প্রচীর ও কবরস্থানে খানাখন্দে ভরা ছিল। এবারে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প টি.আর, কাবিখা ও কাবিটার মাধ্যমে আমাদের কবরস্থানের সীমানা প্রচীর ও মাটি ভরাটের কাজ হওয়ায় আমরা খুবই খুশি।
হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার তাজুল ইসলাম , ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার দাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প টি.আর,কাবিখা ও কাবিটার যে বরাদ্দ এসেছে তা দিয়ে এলাকার রাস্তা-ঘাট , ড্রেন, এইচবিবিকরণ,আরসিসিকরণ কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে।

মমিনপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহীদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার জিয়াউর বলেন, এবার যেমন বরাদ্দ বেশী এসেছে, তেমনি কাজের মানও ভালো হচ্ছে। প্রকল্প কর্মকর্তা সবসময় কাজের তদারকি করছেন।
খলেয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নবিউল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মাজেদ আলী জানান, বিগত সরকারের সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপের কারনে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প টি.আর,কাবিখা ও কাবিটার কাজের প্রকল্পগুলোতে অনেক দূর্ণীতি হয়েছিল। এবার তা আর হচ্ছেনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা স্যার সরেজমিনে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো প্রায়ই দেখতে আসছেন এবং কাজের গুনগতমান বুঝে নিচ্ছেন। কাজের বিষয়ে শ্যামপুর বন্দরের সুবাস চন্দ্র, লাহিড়ীরহাটের সাজু মাস্টার, পাগলাপীরের সুমন, মমিনপুরের সাফিউল মন্ডল, পালিচড়ার মহাসিন ও আনারুল মেম্বার বলেন, বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এবারে কাজের মান অনেক ভালো এবং এলাকায় লোকজন এই রকম কাজ আরো হবে বলে প্রত্যাশা করেন।

এ বিষয়ে রংপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিমুল হক “দৈনিক বায়ান্নর আলো’কে জানান, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের মধ্যে ৮৬ টি টি.আর, ৯২টি কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে কাচা রাস্তায় মাটি কাটার কাজ কমিয়ে এনে পাকা রাস্তা এইচবিবিকরণ, আরসিসিকরণ, বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান, ইউড্রেনের কাজ হচ্ছে। পরবর্তীতেও প্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে।
এদিকে জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ