বাড়িভিটা বিক্রি করে যৌতুকের টাকা দিয়েও একমাত্র মেয়েকে বাচাতে পারেননি বাবা আব্দুল ছাত্তার। পরিবারের অভিযোগ স্বামী হাসুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রায় একমাস যাবৎ চিকিৎসাধীন থেকে মারা যায় মেয়ে আশামনি।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্বামী মোখলেছার রহমান হাসু গত ৩১ মার্চ ওই গৃহবধুকে মারধোর করে।পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ এপ্রিল মারা যান তিনি।ঘটনাটি রংপুরের পাগলাপির উপজেলার কুর্শা বলরামপুর গ্রামের।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনেই লাশ রেখে পালিয়ে যায় হাসুর পরিবারের সদস্যরা। আর এবিষয়ে সদর কোতোয়ালি থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হলেও চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত হাসু মিয়া
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুল চন্দ্র রায় বলেন,আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
আসামী ধরার চেষ্টা চলমান আছে বললেন সদর কোতোয়ালি থানার সদ্য বদলি হয়ে আসা পুলিশের এই কর্মকর্তা
এবিষয়ে সদর কোতোয়ালি থানা অফিসার ইনচার্জ জানান,আসামী ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে ভ্যানচালক আব্দুল সাত্তার এখন দিশেহারা আর শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাই বিচারের আশায় ঘুরছেন পুলিশের দ্বারে দ্বারে।
এবিষয়ে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।আর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার হলেও কোন সাড়া মেলেনি।