নিজস্ব প্রতিবেদক
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে যুবদল কর্মী মজিদুল ইসলাম লিমনের বিরুদ্ধে সমন্বয়কের মা পরিচয়ে মামলা করেছেন এক নারী। শুধু মামলা করেই ক্ষ্যান্ত হননি, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা এবং টাকা না পেলে আরো মামলার হুমকি দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে রংপুর নগরীর রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন ঘটনাই তুলে ধরেছেন ওই ভুক্তভোগি যুবদল কর্মী।
সংবাদ সম্মেলন যুবদল কর্মী মজিদুল ইসলাম লিমন জানান, গত ১১ জানুয়ারী রংপুর নগরীর নুরপুর ভাঙ্গা ব্রীজ সংলগ্ন বাসিন্দা মিজানুর রহমান মজনু’র স্ত্রী মোছাঃ ছবি বেগমের পালিত ছাগল তাদের চারাগাছ খেয়ে ফেলে। যার কারনে তারা ছাগলটি ধরে উঠানে বেধে রাখা হয়। পরে ছবি বেগম ছাগল নিতে আসলে তার মা তাকে ছাগল ছেড়ে দিতে বাধা করলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে ছবি বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান মজনু ও তার ছেলে মেয়েসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন লাঠিসোটা, রড নিয়ে আমার মাকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে এবং আমাদের দোকানে হামলা চালিয়ে দোকানের বেড়া ভাংচুর ও মালামাল তছনছ করে। এতে দোকানের ক্ষতি সাধন করে এবং ক্যাশ বাক্সে থাকা মালামাল ক্রয়ের ৭ হাজার ৮০০ টাকা বের করে নেয়। আমাদের চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে এলে তারা আমাদেরকে হত্যার হুমকী দিয়া চলে যায়। পরে আহত মাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমাদের মামলা না নিয়ে উল্টো তাদের মামলা গ্রহণ করে। ছবি বেগমের মেয়েরা আবির নামে এক সমন্বয়কের মাধ্যমে মামলা এন্ট্রি করান বলে জানা গেছে।
ছবি বেগম একজন মামলাবাজ নারী। তিনি মামলা দিয়ে হয়রানী করেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাঁদা দাবী করেন। টাকা দিলে মামলা তোলেন, না দিলে আরো মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এভাবে তিনি প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের নামে মামলা করেছেন ইতিমধ্যে। আমাদের নামেও দুটি মিথ্যা মামলা করেছেন তিনি। মামলা তুলে নিতে ইতিমধ্যে দেড় লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। টাকা দিলে তিনি মামলা তুলে নিবেন। এমন একটি ভিডিওতে রয়েছে।আমাদের ঘটনা নিয়ে দুইবার স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য বসা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি এবং স্থানীয় শালিশি বৈঠককে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন তিনি। ছবি বেগমের তিনজন মেয়ে রয়েছে। এই তিন মেয়েই হলো ছবি বেগমের শক্তি। এই মেয়েরা কখনও সমন্বয়ক পরিচয় দেন, আবারো একটু উনি বিশ হলেই নারী নির্যাতনের মামলার ভয়ভীতি দেখান।
তিনি আরো বলেন, আমি ছাত্র অবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। বর্তমানে ২৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য আমি। শুধু তাই নয়, আমি জুলাই আগস্টের আন্দোলনে জীবনকে তুচ্ছ করে রাজপথে সম্মুখসাড়িতে ছিলাম। অথচ আমার নামে আওয়ামীলীগের ট্যাগ লাগিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানীর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন ছবি বেগম গংরা।
এসময় ভুক্তভোগি ওই যুবদল কর্মী মামলাবাজ ছবি বেগম কে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী তুলে তার ও পরিবারের নামে হওয়া মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোকছেদ আলী, মাজিদুল ইসলাম, মাইদুল ইসলাম, ছোবেদা বেগম, পারভীনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।