শিরোনাম
নীলফামারী জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সভাপতি হলেন মাসুম লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজ’র গভর্নিং বডিতে নির্বাচিত যাঁরা সৈয়দপুর রেলকারখানায় লোহার সরঞ্জামসহ চোর আটক আউটকাম বেসড এডুকেশন একটি রীতিবদ্ধ ধারা : বেরোবি উপাচার্য জলঢাকায় প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা উন্নয়নে মতবিনিময় বোরো ধান নিয়ে বোবা কান্না! পীরগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন পঞ্চগড়ে টেকসই উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রকল্পের গুরুত্ব শীর্ষক কর্মশালা রংপুরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মরহুম আলহাজ্ব সাফায়েত হোসেনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হাতীবান্ধার পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির আখড়া, সেবায় ভোগান্তি
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুর খানসামা উপজেলায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আলু মজুদ, ক্লাস না করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের

ডেস্ক নিউজ / ৪২৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

দিনাজপুর খানসামা উপজেলার উত্তর নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির দুটি কক্ষে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আলু মজুদ করেছেন। এতে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন টিনশেডের দুটি কক্ষে মেঝে জুড়ে আলু রাখা হয়েছে। স্কুলের বারান্দাতেও রাখা রয়েছে বস্তাভর্তি আলু। শ্রেণিকক্ষের বসার ব্রেঞ্চগুলো একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে, ফলে শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোষ।

 

স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটির সময়ে তোফাজ্জল হোসেন শাহ নামের এক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আলু সংরক্ষণ করেন। ঈদের ছুটি শেষে স্কুল খোলার পরও তিনি আলুগুলো না সরানোয় নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বসতে না পেরে বাধ্য হয়ে ক্লাস না করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

স্কুল শিক্ষার্থী রাকিব ইসলাম বলেন, আমরা স্কুলে আসি কিন্তু ক্লাস হয় না। ক্লাস রুমে আলু রাখার কারণে আমরা ক্লাস করতে পারছি না। হাজিরা দিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, কার অনুমতিতে স্কুলের শ্রেণিক্ষকে আলু রাখা হলো এটা তদন্ত করলে বুঝতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস হচ্ছে না ঘুরে চলে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক তো কিছুই বলে না আমাদের কি করার।

এবিষয়ে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন আলী বলেন, স্কুল বন্ধের সময় তিনি শ্রেণিকক্ষে আলু রেখেছেন। তাকে একাধিকবার অনুরোধ করলেও আলু সরাননি। পুনরায় অনুরোধ করব। তাতেও কাজ না হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।

খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনজুরুল হক বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যেই আলু অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ