বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন,১৯০৮ এর ৩ক মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা ও সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল ইসলাম রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) মধ্যরাতে রংপুর নগরীর শাপলা এলাকার গোণেশপুর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুর শহর থেকে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। এ সময়, এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় রাসেল পুলিশ ও অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ কর্মীদের ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে গুলি করতে প্ররোচনা দেন। সে সময়, সাংবাদিক শাহরিয়ার মিম তাকে এ বিষয়ে প্রশ্নও করে প্রতিবাদ জানান। এরই সূত্র ধরে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করা হলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড.হারুন অর রশীদ ৭বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত কমিটি তার অভিযুক্তদের তালিকায় নাম দিয়েছে সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাসপেন্ডও করেছে,বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলায় তার নাম রয়েছে, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তার নাম রয়েছে সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোসাদ্দেকুল ইসলাম প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন,তাজহাট থানার মামলায় রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গণেশপুরের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ মে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত সশস্ত্র হামলার ঘটনায় সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়াসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।মামলা সূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোক্তারুলকে গ্রেফতার করেছে তাজহাট থানা পুলিশ। এছাড়া, এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ থেকে ১০০ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।