দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ৫টি প্রতিরক্ষা কলোনীর জমি অবৈধ দখলদার ও ভূমি দস্যুদের হাত থেকে উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানপুর, খোদাদাতপুর, হায়দারনগর, আফছারাবাদ ও নুরজাহানপর কলোনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পরিবারের সদস্যরা উপজেলা চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ওসমানপুর বাজারের প্রধানপ্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন অবঃ সেনা সদস্য আজগর আলী, অবঃ সার্জেন্ট আবুল হোসেন, অবঃ লেন্স. কর্পোরাল রুহুল আমিন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তৎকালীন ভারত সম্রাট অধীনে ভারতীয় মুসলিম সৈনিকগণ পূর্ব পাকিস্থানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে আগত মুসলিম রিফিউজি সৈনিক ও তাদের পরিবারবর্গকে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে তৎকালীন সরকার ৬৮/৪ অফ ৫২-৫৩ নং এল.এ কেসমূলে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৩৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে বসবাস ও চাষাবাদের জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২৬৪ মহাজের পরিবারকে অস্থায়ী ভিত্তিতে টোকেন/স্লিপের মাধ্যমে ৫ একর করে জমি বরাদ্দ দেয়। পরে ১৯৬৫ সালে কিছু মহাজের পরিবার দেশত্যাগ, নিখোঁজ ও নিহত হন। ফলে প্রতিরক্ষা কলোনীর জমিগুলো খালি পড়ে থাকে। এ সুযোগে কিছু অবৈধ দখলদার ও ভূমি দস্যুরা জমি দখল করে জাল দলিল তৈরী করে নদী ভাঙ্গন কবলিত লোকদের নিকট বিক্রি করে আসছে। আমরা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক পরিবারের লোকজন বৈধভাবে লিজ নিয়েও অনেক সময় দখলে আসতে পারিনা।
সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওসমানপুরে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করলে ভূমিদস্যু ও অবৈধ দখলদাররা এলাকায় বসবাসরত লোকদেরকে নিয়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদ করে আসছে। আমরা স্থায়ীভাবে সেনা ক্যাম্প স্থাপন সহ আমাদের পরিবারের বরাদ্দকৃত লিজ জমি উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। শেষে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের নিকট প্রদান করেন।